কাশ্মীরে সেনা অভিযান |
কাশ্মীরের মুসলমানদের স্বাধীনতা চায় আমেরিকা। অপর দিকে আরাকানের রোহিঙ্গাদের জন্য রাজ্যটিকে বাংলাদেশের সাথে একিভুত করতে চায় তারা। ফিলিস্তিনী মুসলমানদের নিজেদের আবাসভূমি কেড়ে নিয়ে যে আমেরিকা ইহুদীদের জন্য ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করল, ইরাক ও আফগানিস্তানে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে লক্ষ লক্ষ মুসলমান হত্যা করল, সিরীয় মুসলমানদের প্রায় নিঃশেষ করে চলল, তারা কেন হঠাৎ কাশ্মীর ও আরাকানী মুসলমানদের জন্য এতটা উতলা হয়ে উঠল তা ভেবে দেখা উচিত।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যেকোন অঞ্চলে আমেরিকার সামরিক ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের পেছনে তাদের নিজেদের স্বার্থকেই তারা প্রধান্য দেয়। ইরাকে তাদের অভিযান থেকে আমরা এবিষয়ে আরো বেশি নিশ্চিত হতে পেরেছিলাম। বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার বিভিন্ন সময়ে সক্রিয় হয়ে উঠার পেছনে যে কারণগুলো আমরা দেখেছি তা হলোঃ মুসলমানদের সবল হয়ে উঠা প্রতিরোধ করা, মুসলমানদের নির্মুল করার ইসরাইলি চক্রান্ত বাস্তবায়ন, গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ লোট ও অস্ত্রের ব্যবসা। ক্ষমতালোভী মুসলমানদের জাতীয় চেতনাহীন মোটা বুদ্ধিই তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক।
বর্মান সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করেছিল আমেরিকা। অবশ্য এ চক্রান্তটি আরো পুরনো ও সুপরিকল্পিত ছিল। জানা যায়, রোহিঙ্গাদের উস্কানি দিয়ে তাদের জঙ্গী বানানো, তাদের অস্ত্র সরবরাহ করা, তাদের হয়ে মিয়ানমারের পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর উপর আক্রমন করা, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও বিতাড়ন, সবকিছুতেই ইসরাইল ও আমেরিকার সক্রিয় মদদ ছিল। অর্থাৎ সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে এ অঞ্চলে মুসলমান হত্যা, আঞ্চলিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ও অস্ত্র ব্যবসার একটি স্থায়ী বাজার তৈরি করার। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে আপাততঃ তাদের দৃষ্টি এখন কাশ্মীরের দিকে।
পাকস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই তারা আমেরিকার পুতুলে পরিনত হয়েছিল। ভারতের সাথে শক্তির লড়াই ও অর্থনৈতিক দূরবলতা বর্তমান সময়ে পাকিস্তানকে আমেরিকার গোলামে পরিনত করেছে। এদিকে ইসরাইলের সাথে ভারতের ভাই ভাই সম্পর্ক সকলের নজর কেড়েছে। ইতিমধ্যে উগ্রপন্থি হিন্দু সন্ত্রাসীদের সাথে ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত আইএস সন্ত্রাসীদের সংযোগের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এমন সময়ে আমেরিকার কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানকে উস্কে দেওয়া আমাদের গুরুত্ব দিয়ে ভাবনার বিষয়। একদিকে মুসলমানদের মদদ দেওয়ার নামে আমেরিকা অস্ত্র দিবে, হিন্দুদের মদদ দেওয়ার কথা বলে ভারতের হিন্দুদের কাছে ইসরাইল অস্ত্র দিবে। আর স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে নির্মুল হবে মুসলমান।