একসময়ের
প্রবল প্রতাপশালী প্রেসিডেন্ট লে. জে. হু. মু. এরশাদ আজ চলে গেলেন না
ফেরার দেশে। কেউ বলেন, তিনি ছিলেন পল্লীবন্ধু, কেউ বলেন তিনি স্বৈরাচার।
প্রকৃতপক্ষে কেমন শাসক ছিলেন তিনি ইতিহাস তার বিচার করবে।

আমি
দেখেছি, এরশাদ যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন খুব জাকজমক ও উৎসবের সাথে নির্বাচন
হত। তখনকার সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যানদের খুব দাপট ছিল। স্থানীয় প্রশাসনের উপর
তারা খুব প্রভাব খাটাতে পারতেন। উপজেলা চেয়ারম্যানগণ জনগণের কাছে যেতেন,
জনগণ তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যাগুলো তাদের বলতে পারত। ফলে মানুষের
সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান সম্ভব হত। এসময়ে গ্রাম পর্যায়ে রাস্তা-ঘাট, সেতু
ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছিল। জনপ্রতিনিধিদের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা ছিল,
ফলে প্রশাসনে তেমন দুর্নিতি ছিলনা।
এরশাদ বলতেন, আটষট্টি হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই তিনি গ্রমীন উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।

একজন
সেনাপতি থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করে হা/না নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি নিজের
ক্ষমতাকে বৈধ করেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু তখনও ছিল।প্রতিহিংসাপরায়ণ ছিলেননা তিনি, ফলে ক্ষমতায় থেকেও বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমানের নামে হোস্টেল নির্মাণ করেছিলেন এরশাদ। স্বৈরাচার তকমা দিয়ে
১৯৯০য়ে তার শাসনের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন হয়। পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগ
না করে তিনি কি কঠোর হাতে সেই আন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে পারতেন না?

ক্ষমতা
ছেড়ে দিয়ে কারাবন্ধী হন এরশাদ। নানারকম মামলায় জরিয়ে তাকে কুণ্ঠাসা করা
হয়। ইতিমধ্যে তার দল জাতীয় পার্টি অনেক দূর্বল হয়ে পড়ে। ফলে, কোমর সোজা করে
আর দাড়াতে পারেননি তিনি।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.